মাদার তেরেসা মূলভাব ও বিষয়বস্তু – সনজীদা খাতুন

মাদার তেরেসা মূলভাব ও বিষয়বস্তু - সনজীদা খাতুন

সনজীদা খাতুনের লেখা ‘মাদার তেরেসা’ একটি অনুপ্রেরণামূলক রচনা, যা মাদার তেরেসার জীবন ও কাজের মাধ্যমে মানবসেবার মহান আদর্শকে তুলে ধরে। লেখাটিতে মাদার তেরেসার জন্ম থেকে শুরু করে তাঁর সেবামূলক কাজ, সংগ্রাম, এবং বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতির গল্প বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। নিচে মাদার তেরেসা মূলভাব ও বিষয়বস্তু – সনজীদা খাতুন দেওয়া হল।

মাদার তেরেসা মূলভাব

মাদার তেরেসা ছিলেন একজন মহিলা, যিনি সারাজীবন গরিব, অসুস্থ এবং দুঃখী মানুষের সেবা করে গেছেন। তিনি আলবেনিয়ায় জন্ম নেন, পরে ভারতে এসে সেবার কাজ শুরু করেন। প্রথমে তিনি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন, কিন্তু কলকাতার রাস্তায় গরিব মানুষের দুঃখ দেখে তিনি স্কুল ছেড়ে দিয়ে তাদের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেন। তিনি বস্তিতে স্কুল খুললেন, অসুস্থ মানুষদের সেবার জন্য ‘নির্মল হৃদয়’ নামে আশ্রম তৈরি করলেন। রাস্তা থেকে অসুস্থ মানুষদের তুলে এনে তাদের যত্ন নিতেন। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় শরণার্থী শিবিরেও সেবা করেন। মাদার তেরেসার কাজের জন্য তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন, কিন্তু সব টাকা গরিব মানুষের সেবায় দান করেন। ১৯৯৭ সালে তিনি মারা যান, কিন্তু তাঁর ভালোবাসা ও সেবার আদর্শ আজও মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। তিনি শেখান যে ভালোবাসা দিয়ে পৃথিবীকে সুন্দর করা যায়।

মাদার তেরেসা গল্পের বিষয়বস্তু

মাদার তেরেসা ছিলেন একজন অসাধারণ মহিলা, যিনি সারাজীবন ধরে গরিব, অসহায় এবং দুঃখী মানুষের সেবা করে গেছেন। তাঁর পুরো নাম অ্যাগনেস গোনজা বোজাঝিউ, কিন্তু তিনি সন্ন্যাসী হওয়ার পর নাম নেন মাদার তেরেসা। তিনি আলবেনিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন, কিন্তু পরে ভারতে এসে সেবার কাজ শুরু করেন।

ছোটবেলা থেকেই তেরেসা মানুষের দুঃখ-কষ্ট দেখে খুব কষ্ট পেতেন। তিনি বড় হয়ে ঠিক করলেন যে তিনি মানুষের সেবা করবেন। তিনি ভারতে এসে প্রথমে স্কুলে শিক্ষকতা করেন, কিন্তু পরে দেখলেন যে কলকাতার রাস্তায় অনেক গরিব, অসুস্থ এবং অনাথ মানুষ রয়েছে যাদের কেউ সাহায্য করে না। তখন তিনি স্কুলের চাকরি ছেড়ে দিয়ে পুরো সময় গরিব মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেন।

তিনি কলকাতার বস্তিতে একটি ছোট স্কুল খুললেন, যেখানে মাটিতে দাগ কেটে শিশুদের বর্ণমালা শেখাতেন। পরে তিনি অসুস্থ এবং মৃত্যুপথযাত্রী মানুষের সেবার জন্য ‘নির্মল হৃদয়’ নামে একটি আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। সেখানে তিনি রাস্তা থেকে তুলে আনা অসুস্থ মানুষদের সেবা করতেন, তাদের ভালোবাসা এবং যত্ন দিতেন।

মাদার তেরেসা শুধু কলকাতায় নয়, সারা বিশ্বে মানুষের সেবা করেছেন। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় শরণার্থী শিবিরে গিয়ে দুর্গত মানুষের সেবা করেন। পরে বাংলাদেশেও তাঁর সংগঠন ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’র মাধ্যমে গরিব মানুষের সেবা শুরু করেন।

মাদার তেরেসার কাজের জন্য তিনি সারা বিশ্বে সম্মান পেয়েছেন, এমনকি নোবেল শান্তি পুরস্কারও পেয়েছেন। কিন্তু তিনি সব পুরস্কারের টাকা গরিব মানুষের সেবায় ব্যয় করেছেন। তিনি বলতেন, “সবচেয়ে বড় পুরস্কার হলো মানুষের ভালোবাসা।”

১৯৯৭ সালে মাদার তেরেসা মারা যান, কিন্তু তাঁর কাজ এবং আদর্শ আজও মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। তিনি শেখান যে ছোট ছোট কাজ দিয়েও বড় পরিবর্তন আনা যায়, এবং ভালোবাসা দিয়ে পৃথিবীকে সুন্দর করা যায়।

Related Posts

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *