কপিলদাস মুর্মুর শেষ কাজ বিষয়বস্তু ও জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

শওকত আলীর ‘কপিলদাস মুর্মুর শেষ কাজ’ গল্পটি সাঁওতাল সম্প্রদায়ের ভূমি ও অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রামকে কেন্দ্র করে রচিত। গল্পটি আমাদের শেখায়, লড়াই করার জন্য বয়স কোনো বাধা নয়। নিজেদের ভিটেমাটি রক্ষার জন্য মানুষ যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। একাদশ-দ্বাদশ বাংলা বিষয়ের কপিলদাস মুর্মুর শেষ কাজ বিষয়বস্তু ও জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর লিখে দিলাম।

কপিলদাস মুর্মুর শেষ কাজ বিষয়বস্তু

শওকত আলীর ‘কপিলদাস মুর্মুর শেষ কাজ’ গল্পটি সাঁওতাল সম্প্রদায়ের ভূমি ও পরিচয় রক্ষার লড়াই নিয়ে লেখা। গল্পের প্রধান চরিত্র কপিলদাস মুর্মু একজন বৃদ্ধ সাঁওতাল। বয়সের ভারে নুয়ে পড়লেও নিজের বসতভিটা হারানোর আশঙ্কায় তিনি শেষবারের মতো লড়াইয়ে নামেন। সাঁওতালদের কাছে ভূমি শুধু সম্পত্তি নয়, এটা তাদের জীবনের অংশ। তাই যখন তাদের ভিটেমাটি হারানোর ভয় দেখা দেয়, তখন কপিলদাস নিজের সাহস আর শক্তি দিয়ে লড়াই করেন।

গল্পে দেখা যায়, কপিলদাসের অতীত জীবন আর তার বীরত্বের গল্প অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়। সমাজের বড়রা তাকে অক্ষম ভেবে তুচ্ছ করে, কিন্তু শিশুরা তার গল্প শুনে মুগ্ধ হয়। শিশুদের এই আগ্রহ কপিলদাসকে নতুন উদ্যম দেয়। ধীরে ধীরে তিনি নিজের জড়তা কাটিয়ে ওঠেন। একসময় হাতে তুলে নেন তির-ধনুক আর শত্রুর দিকে একের পর এক তির ছুড়তে থাকেন। তখন তিনি আর শুধু একজন বৃদ্ধ মানুষ নন, তিনি হয়ে ওঠেন সাঁওতাল জাতির অস্তিত্ব রক্ষার প্রতীক।

কপিলদাস মুর্মুর শেষ কাজ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

১। ‘কপিলদাস মুর্মুর শেষ কাজ’ গল্পটির লেখক কে?
উত্তর: শওকত আলী।

২। শওকত আলী কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে।

৩। শওকত আলী কত সালে জন্মগ্রহন করেন?
উত্তর: ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দের ১২ই ফেব্রুয়ারি।

৪। শওকত আলীর বাবার নাম কী?
উত্তর: খোরশেদ আলী সরদার।

৫। শওকত আলী মায়ের নাম কী?
উত্তর: মোসাম্মত সালেমা খাতুন।

৬। শওকত আলী কবে পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসেন?
উত্তর: ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে।

৭। শওকত আলী কোন বিষয়ে এমএ পাস করেন?
উত্তর: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা বিষয়ে।

৮। শওকত আলী কবে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ২৫শে জানুয়ারি।

৯। ‘কপিলদাস মুর্মুর শেষ কাজ’ গল্পটি কোন গ্রন্থ থেকে সংকলন করা হয়েছে?
উত্তর: ‘লেলিহান সাধ’ (১৯৭৭) গ্রন্থ থেকে।

১০। কপিলদাস মুর্মু কে?
উত্তর: এক বৃদ্ধ সাঁওতাল।

১১। মুর্মু শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: মুর্মু শব্দের অর্থ নীল গাভি।

১২। টাঙন কী?
উত্তর: টাঙন হলো একটি পাহাড়ি জলাধার বা নদী।

১৩। তরুণরা কপিলদাসকে কীভাবে দেখে?
উত্তর: তারা তাকে বুড়ো এবং অক্ষম মনে করে।

১৪। শিশুরা কপিলদাসের প্রতি কেমন মনোভাব পোষণ করে?
উত্তর: শিশুরা তার প্রতি আকর্ষণ ও উৎসাহ দেখায়।

১৫। কপিলদাসের হাতে কী অস্ত্র দেখা যায়?
উত্তর: তির-ধনুক।

১৬। আধিয়ার কাদের বলে?
উত্তর: আধিয়ার হলো বর্গাদার, যারা নির্দিষ্ট শর্তে অন্যের জমিতে চাষ করে এবং ফসলের অংশ মালিককে দেয়।

১৭। কপিলদাস কীভাবে তরুণদের দ্বিধা অতিক্রম করে?
উত্তর: সাহস ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে।

১৮। কপিলদাসের স্মৃতিচারণে কী উঠে আসে?
উত্তর: তার অতীতের বীরত্বগাথা এবং সংগ্রামের কাহিনি।

১৯। কপিলদাসের সংগ্রাম কোন বিষয়ের শিক্ষা দেয়?
উত্তর: লড়াইয়ের কোনো বয়স নেই।

২০। কান্দর কী বোঝায়?
উত্তর: কান্দর অর্থ খাত বা নিচু স্থান, যা সাধারণত খালের অংশবিশেষ।

২১। পুশনা পরব কী?
উত্তর: পুশনা পরব হলো পৌষ-সংক্রান্তির বিশেষ পুজো ও উৎসব।

২২। কপিলদাসকে তরুণরা কী বলে?
উত্তর: ‘হা মড়ল তুই বুঢ়া মানুষ— তুই কিছু করিবা পারিস না।’

২৩। কপিলদাসের সংগ্রামের প্রতীক কী?
উত্তর: তার তির-ধনুক।

২৪। কপিলদাসের চরিত্র কিসের প্রতীক?
উত্তর: জাতিসত্তার অস্তিত্ব রক্ষার প্রতীক।

২৫। ‘কপিলদাস মুর্মুর শেষ কাজ’ গল্পটির মূল প্রতিপাদ্য কী?
উত্তর: অস্তিত্ব রক্ষার জন্য লড়াইয়ের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হওয়া।

২৬। গিরস্তি শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: গিরস্তি অর্থ গৃহস্থ কাজ।

২৭। গল্পে কপিলদাস কীভাবে চিত্রিত হয়েছে?
উত্তর: একজন সংগ্রামী, অনুপ্রাণিত যোদ্ধা হিসেবে।

২৮। ‘কপিলদাস মুর্মুর শেষ কাজ’ গল্পে কোন সমাজের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: সাঁওতাল সমাজ।

২৯। ‘কপিলদাস মুর্মুর শেষ কাজ’ গল্পের ভাষা কেমন?
উত্তর: সাঁওতালি কথনভঙ্গি ও শব্দযোজনায় সমৃদ্ধ।

৩০। হাপন শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: হাপন অর্থ বালক।

৩১। কপিলদাসের সংগ্রামের ফলাফল কী?
উত্তর: সে জাতিসত্তার রক্ষার প্রতীক হয়ে ওঠে।

৩২। কপিলদাসকে শিশুদের কাছে কী মনে হয়?
উত্তর: আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ।

৩৩। ‘কপিলদাস মুর্মুর শেষ কাজ’ গল্পটি কী বার্তা দেয়?
উত্তর: আত্মত্যাগ ও লড়াইয়ের জন্য বয়স কোনো বাধা নয়।

৩৪। নাগরদোলা কী?
উত্তর: নাগরদোলা হলো ওপর থেকে নিচে ঘুরতে পারে এমন একটি খেলার যন্ত্র।

৩৫। কপিলদাসের প্রতি সমাজের অন্যদের মনোভাব কী?
উত্তর: তাকে অপ্রয়োজনীয় ও অক্ষম মনে করে।

৩৬। কপিলদাসের সংগ্রাম কীভাবে শুরু হয়?
উত্তর: নতুন চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে।

৩৭। ‘কপিলদাস মুর্মুর শেষ কাজ’ গল্পটি কোন বিষয়ে আশাবাদী চেতনা দেয়?
উত্তর: উন্মলিত মানুষদের সংগ্রামের সম্ভাবনা।

৩৮। কপিলদাসের সংগ্রাম কোন অস্ত্র দ্বারা হয়?
উত্তর: তির-ধনুক।

৩৯। মান্দল কী?
উত্তর: মান্দল হলো এক ধরনের তালবাদ্য।

৪০। জোতদার কারা?
উত্তর: জোতদার ছিলেন মধ্যস্বত্বভোগী, যারা জমিদারদের কাছ থেকে জমি পত্তনি নিয়ে চাষ তদারকি ও খাজনা আদায় করতেন।

আরও পড়ুনঃ শওকত আলীর কপিলদাস মুর্মুর শেষ কাজ MCQ প্রশ্ন ও উত্তর

Related Posts

Leave a Comment