দুই বিঘা জমি কবিতার মূলভাব ও ব্যাখ্যা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “দুই বিঘা জমি” কবিতার মূল বিষয়বস্তু দরিদ্র কৃষক উপেনের করুণ কাহিনীর মাধ্যমে সমাজের শোষণ, বৈষম্য এবং মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়কে চিত্রিত করে। নিচে দুই বিঘা জমি কবিতার মূলভাব ও ব্যাখ্যা দেয়া হল।

দুই বিঘা জমি কবিতার মূলভাব

একজন গরিব কৃষক উপেনের মাত্র দুই বিঘা জমি বাকি ছিল, বাকি সব ঋণে হারিয়েছে। জমিদার তার বাগান বাড়ানোর জন্য সেই জমি কিনতে চায়। কিন্তু উপেন জমিটি বিক্রি করতে রাজি হয় না, কারণ এটি তার পরিবারের সাত পুরুষের স্মৃতির সঙ্গে জড়িত। জমিদার মিথ্যে মামলা করে জমিটি দখল করে নেয়। উপেন ভিটেছাড়া হয়ে সাধু হয়ে দেশে দেশে ঘুরতে থাকে, কিন্তু তার মনের গভীরে সব সময় তার জমি এবং গ্রামের স্মৃতি থেকে যায়।

কয়েক বছর পরে উপেন একদিন গ্রামে ফিরে আসে। তার বাড়ি আর জমি এখন আর তার নয়, কিন্তু তার ছোটবেলার স্মৃতিবিজড়িত আমগাছটি এখনও আছে। গাছের ছায়ায় বসে উপেন শান্তি পায়। হঠাৎ দুটি পাকা আম পড়ে তার কোলে। উপেন আমগুলোকে তার মায়ের স্নেহের দান মনে করে। কিন্তু মালি এসে তাকে চোর বলে গালাগালি দেয় এবং জমিদারের কাছে নিয়ে যায়। জমিদার উপেনকে অপমান করে। এই কবিতায় কবি দেখান যে, সমাজে ধনী ও শক্তিশালীরা গরিবদের উপর অন্যায় করে। উপেনের কাহিনী আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, সমাজের বাস্তব চিত্র।

দুই বিঘা জমি কবিতার ব্যাখ্যা

কবিতার লাইনব্যাখ্যা
শুধু বিঘে দুই ছিল মোর ভুঁই, আর সবই গেছে ঋণে।উপেনের কাছে আগে অনেক জমি ছিল, কিন্তু দারিদ্র্য ও ঋণের কারণে সে তার প্রায় সব জমিই হারিয়েছে। এখন তার কাছে মাত্র দুই বিঘা জমি বাকি আছে।
বাবু বলিলেন, বুঝেছ উপেন, এ জমি লইব কিনে।জমিদার উপেনের কাছে এসে তার দুই বিঘা জমি কিনে নিতে চায়। জমিদারের উদ্দেশ্য হলো তার বাগান বাড়ানো। কিন্তু উপেনের জন্য এই জমিটি শুধু মাটি নয়, এটি তার পরিবারের সাত পুরুষের স্মৃতি ও আবেগের সঙ্গে জড়িত।
কহিলাম আমি, তুমি ভূস্বামী, ভূমির অন্ত নাই। চেয়ে দেখো মোর আছে বড়ো-জোর মরিবার মতো ঠাঁই।উপেন জমিদারকে বলে যে, জমিদারের কাছে প্রচুর জমি আছে, কিন্তু তার কাছে মাত্র দুই বিঘা জমিই বাকি আছে, যা তার বেঁচে থাকার শেষ আশ্রয়। উপেন জমিদারকে অনুরোধ করে তার এই শেষ সম্বলটি যেন না কেড়ে নেয়।
শুনি রাজা কহে, ‘বাপু, জানো তো হে, করেছি বাগানখানা, পেলে দুই বিঘে প্রস্থে ও দিঘে সমান হইবে টানা— ওটা দিতে হবে।’জমিদার উপেনের আবেদন উপেক্ষা করে বলে যে, তার বাগান বাড়ানোর জন্য এই দুই বিঘা জমি তার দরকার। জমিদারের স্বার্থপরতা এখানে স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
কহিলাম তবে বক্ষে জুড়িয়া পাণি, সজল চক্ষে, ‘করুন রক্ষে গরিবের ভিটেখানি।’উপেন কান্নাজড়িত কণ্ঠে জমিদারকে অনুরোধ করে তার ভিটে রক্ষা করার জন্য। এটি তার পূর্বপুরুষদের স্মৃতি এবং অস্তিত্বের শেষ চিহ্ন।
সপ্ত পুরুষ যেথায় মানুষ, সে মাটি সোনার বাড়া, দৈন্যের দায়ে বেচিব সে মায়ে এমনি লক্ষ্মীছাড়া!উপেন বলে যে, এই জমিতে তার সাত পুরুষের স্মৃতি জড়িত। এই জমি তার জন্য সোনার চেয়েও মূল্যবান। কিন্তু দারিদ্র্যের কারণে সে এই জমি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে, যা তার জন্য খুবই কষ্টদায়ক।
আঁখি করি লাল রাজা ক্ষণকাল রহিল মৌনভাবে, কহিলেন শেষে ক্রূর হাসি হেসে, ‘আচ্ছা, সে দেখা যাবে।’জমিদার উপেনের আবেদন শুনে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকে। তার চোখ লাল হয়ে যায়, যা তার রাগ ও নিষ্ঠুরতা প্রকাশ করে। শেষে সে এক ক্রূর হাসি হেসে বলে, “আচ্ছা, দেখা যাবে।” এখানে জমিদারের হাসি তার স্বার্থপরতা ও অন্যায়ের প্রতীক।
পরে মাস দেড়ে ভিটে মাটি ছেড়ে বাহির হইনু পথে।জমিদার মিথ্যে মামলা করে উপেনের জমি দখল করে নেয়। উপেন ভিটেছাড়া হয়ে গ্রাম ছেড়ে পথে বের হয়।
করিল ডিক্রি, সকলই বিক্রি মিথ্যা দেনার খতে।জমিদার মিথ্যে ঋণের মামলা করে উপেনের জমি হাতিয়ে নেয়।
এ জগতে, হায়, সেই বেশি চায় আছে যার ভূরি ভূরি।কবি বলতে চান যে, এই পৃথিবীতে যার প্রচুর সম্পদ আছে, সে আরও বেশি চায়। ধনীরা কখনই তাদের লোভ মেটাতে পারে না।
“রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি।”জমিদার বা শক্তিশালী ব্যক্তিরা গরিব মানুষের সম্পদ কেড়ে নেয়।
“মনে ভাবিলাম মোরে ভগবান রাখিবে না মোহগর্তে, তাই লিখি দিল বিশ্বনিখিল দু বিঘার পরিবর্তে।”উপেন মনে মনে ভাবে যে, ভগবান তাকে মোহের ফাঁদে রাখবেন না। তাই সে তার দুই বিঘা জমির বিনিময়ে সমস্ত পৃথিবীকে লিখে দেয়।
সন্ন্যাসীবেশে ফিরি দেশে দেশে হইয়া সাধুর শিষ্য।উপেন সাধু হয়ে দেশে দেশে ঘুরতে থাকে। 
কত হেরিলাম মনোহর ধাম, কত মনোরম দৃশ্য!উপেন বলে, কতই সুন্দর দৃশ্য সে দেখেছে।
ভূধরে সাগরে বিজনে নগরে যখন যেখানে ভ্রমি, তবু নিশিদিনে ভুলিতে পারি নে সেই দুই বিঘা জমি।উপেন যেখানেই যাক না কেন, তার মনের গভীরে সব সময় তার দুই বিঘা জমির স্মৃতি থেকে যায়।
হাটে মাঠে বাটে এই মতো কাটে বছর পনেরো-ষোলো।উপেন প্রায় পনেরো-ষোলো বছর ধরে এইভাবে ঘুরে বেড়ায়।
একদিন শেষে ফিরিবারে দেশে বড়োই বাসনা হলো।বছর পনেরো-ষোলো পর উপেন তার গ্রামে ফিরে আসার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে।
নমোনমো নম সুন্দরী মম জননী বঙ্গভূমি!উপেন তার মাতৃভূমি বঙ্গভূমির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
গঙ্গার তীর, স্নিগ্ধ সমীর, জীবন জুড়ালে তুমি।উপেন গঙ্গার তীরের শান্ত ও সুন্দর পরিবেশের কথা বলে, যা তার জীবনকে শান্তি দেয়।
অবারিত মাঠ, গগনললাট চুমে তব পদধূলি।কবি গ্রামের মুক্ত ও প্রশস্ত মাঠের কথা বলেছেন, এমন মাঠ মনে হয় আকাশকে স্পর্শ করেছে।
ছায়াসুনিবিড় শান্তির নীড় ছোটো ছোটো গ্রামগুলি।ছোটো ছোটো গ্রামগুলো ছায়ায় ঢাকা এবং শান্তির আড্ডা।
পল্লবঘন আম্রকানন রাখালের খেলাগেহ।আমবাগানগুলি পাতায় ঘন, এবং রাখালেরা সেখানে খেলাধুলা করে।
স্তব্ধ অতল দিঘি কালোজল – নিশীথশীতল স্নেহ।গভীর ও শান্ত দিঘির কালো জল রাতের শীতল স্নেহের মতো মনে হয়।
বুকভরা মধু বঙ্গের বধূ জল লয়ে যায় ঘরে।বাংলার মেয়েরা জল নিয়ে ঘরে ফেরে, তাদের হৃদয় মধুর মতো মিষ্টি।
মা বলিতে প্রাণ করে আনচান, চোখে আসে জল ভরে।উপেন যখন “মা” বলে, তখন তার প্রাণ ব্যাকুল হয়ে ওঠে এবং চোখে জল আসে।
দুই দিন পরে দ্বিতীয় প্রহরে প্রবেশিনু নিজগ্রামে।উপেন দুই দিন পর দ্বিতীয় প্রহরে (বিকেলবেলা) তার গ্রামে প্রবেশ করে।
কুমোরের বাড়ি দক্ষিণে ছাড়ি রথতলা করি বামে।উপেন কুমোরের বাড়ি ডান দিকে রেখে এবং রথতলা বাম দিকে রেখে গ্রামে প্রবেশ করে।
রাখি হাটখোলা, নন্দীর গোলা, মন্দির করি পাছে।উপেন হাটখোলা, নন্দীর গোলা এবং মন্দির পেছনে রেখে এগিয়ে যায়।
তৃষাতুর শেষে পঁহুছিনু এসে আমার বাড়ির কাছে।উপেন তৃষ্ণার্ত অবস্থায় শেষে তার বাড়ির কাছে পৌঁছায়। 
ধিক ধিক ওরে, শত ধিক তোরে, নিলাজ কুলটা ভূমি!উপেন তার মাতৃভূমিকে ধিক্কার দেয়, কারণ এটি তার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
যখনি যাহার তখনি তাহার, এই কী জননী তুমিউপেন বলতে চায় যে, মাতৃভূমি এখন যার ইচ্ছা তার হয়ে গেছে।
সে কি মনে হবে একদিন যবে ছিলে দরিদ্রমাতা, আঁচল ভরিয়া রাখিতে ধরিয়া ফল ফুল শাক পাতা!উপেন স্মরণ করে যে, একদিন তার মাতৃভূমি দরিদ্র মানুষের প্রতি স্নেহশীলা ছিল। আঁচল ভরে ফল, ফুল ও শাক পাতা দিতো।
আজ কোন রীতে কারে ভুলাইতে ধরেছ বিলাসবেশ।উপেন বলতে চায় যে, এখন মাতৃভূমি বিলাসবেশ ধরে আছে এবং গরিব মানুষের প্রতি তার স্নেহ হারিয়ে গেছে।
পাঁচরঙা পাতা অঞ্চলে গাঁথা, পুষ্পে খচিত কেশ!কবি প্রকৃতির সৌন্দর্য বর্ণনা করেছেন। পাঁচরঙা পাতা এবং ফুলে সজ্জিত চুল প্রকৃতির মায়াময় রূপকে প্রকাশ করে।
আমি তোর লাগি ফিরেছি বিবাগি গৃহহারা সুখহীন।উপেন তার মাতৃভূমির জন্য গৃহহারা ও সুখহীন হয়ে দেশে দেশে ঘুরেছে।
তুই হেথা বসি ওরে রাক্ষসী, হাসিয়া কাটাস দিন!উপেন তার মাতৃভূমিকে রাক্ষসী বলে সম্বোধন করে, কারণ এটি তার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছে এবং এখন অন্যায়ের সঙ্গে হাসিমুখে দিন কাটাচ্ছে।
ধনীর আদরে গরব না ধরে! এতই হয়েছ ভিন্ন।উপেন বলতে চায় যে, মাতৃভূমি এখন ধনীদের আদরে গর্বিত হয়ে গেছে এবং গরিব মানুষের প্রতি তার স্নেহ হারিয়ে গেছে।
কোনোখানে লেশ নাহি অবশেষ সেদিনের কোনো চিহ্ন!উপেন বলতে চায় যে, তার অতীতের কোনো চিহ্ন এখন আর অবশিষ্ট নেই। সবকিছু বদলে গেছে, এবং তার শৈশবের স্মৃতিগুলো এখন শুধুই স্মৃতি।
কল্যাণময়ী ছিলে তুমি অয়ি, ক্ষুধাহরা সুধারাশি!উপেন স্মরণ করে যে, একদিন তার মাতৃভূমি কল্যাণময়ী ও দরিদ্র মানুষের জন্য সুধার মতো ছিল।
যত হাসো আজ যত করো সাজ ছিলে দেবী, হলে দাসী।উপেন বলতে চায় যে, জমিটি তার কাছে দেবীর মতো ছিল কিন্তু জমিদার কেড়ে নেওয়ার পর দাসী হয়ে গেছে।
বিদীর্ণ-হিয়া ফিরিয়া ফিরিয়া চারি দিকে চেয়ে দেখি।উপেন বিদীর্ণ হৃদয়ে চারিদিকে তাকায় এবং তার অতীত স্মৃতি মনে পড়ে।
প্রাচীরের কাছে এখনো যে আছে, সেই আমগাছ, এ কি!উপেন দেখে যে, দেয়ালের কাছে তার ছোটবেলার স্মৃতিবিজড়িত আমগাছটি এখনও দাঁড়িয়ে আছে।
বসি তার তলে নয়নের জলে শান্ত হইল ব্যথা।আমগাছের ছায়ায় বসে উপেনের ব্যথা কিছুটা শান্ত হয়।
একে একে মনে উদিল স্মরণে বালক-কালের কথা।উপেনের একে একে তার শৈশবের স্মৃতি মনে পড়ে।
সেই মনে পড়ে জ্যৈষ্ঠের ঝড়ে রাত্রে নাহিকো ঘুম।উপেন স্মরণ করে যে, জ্যৈষ্ঠ মাসের ঝড়ের রাতে সে ঘুমাতে পারত না। 
অতি ভোরে উঠি তাড়াতাড়ি ছুটি আম কুড়াবার ধুম।উপেন স্মরণ করে যে, সে খুব ভোরে উঠে আম কুড়ানোর জন্য ছুটত।
সেই সুমধুর স্তব্ধ দুপুর, পাঠশালা পলায়ন।উপেন স্মরণ করে যে, দুপুরে পাঠশালা থেকে পালিয়ে যেত।
ভাবিলাম হায় আর কি কোথায় ফিরে পাব সে জীবন!উপেন ভাবে যে, সে জীবন আর কখনও ফিরে পাবে না।
সহসা বাতাস ফেলি গেল শ্বাস শাখা দুলাইয়া গাছে, দুটি পাকা ফল লভিল ভূতল আমার কোলের কাছে।হঠাৎ বাতাসে দুটি পাকা আম পড়ে উপেনের কোলে। এটি তার মায়ের স্নেহের দান বলে মনে হয়।
ভাবিলাম মনে বুঝি এতখনে আমারে চিনিল মাতা, স্নেহের সে দানে বহু সম্মানে বারেক ঠেকানু মাথা।উপেন মনে করে যে, প্রকৃতি তাকে চিনতে পেরেছে এবং স্নেহের সঙ্গে এই আমগুলো দিয়েছে। উপেন এই স্নেহের দানকে সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করে এবং মাথা নত করে শ্রদ্ধা জানায়।
হেনকালে হায় যমদূত প্রায় কোথা হতে এল মালি।হঠাৎ মালি এসে উপেনকে আম চুরি করার জন্য গালাগালি দেয়।
ঝুঁটি-বাঁধা উড়ে সপ্তম সুরে পাড়িতে লাগিল গালি।মালি খুব জোরে ও রাগের সঙ্গে উপেনকে গালাগালি দেয়। 
কহিলাম তবে, ‘আমি তো নীরবে দিয়েছি আমার সব- দুটি ফল তার করি অধিকার, এত তারি কলরব!উপেন মালিকে বলে যে, সে তার সবকিছু হারিয়েছে এবং মাত্র দুটি আম চেয়েছে। কিন্তু মালি তার এই অনুরোধকে উপেক্ষা করে।
চিনিল না মোরে, নিয়ে গেল ধরে কাঁধে তুলি লাঠিগাছ।মালি উপেনকে চিনতে পারে না এবং তাকে লাঠি দিয়ে ধরে নিয়ে যায়। 
বাবু ছিপ হাতে পারিষদ সাথে ধরিতেছিলেন মাছ।জমিদার মাছ ধরছিলেন এবং তার পারিষদরা তার সঙ্গে ছিল।
শুনি বিবরণ ক্রোধে তিনি কন, ‘মারিয়া করিব খুন।জমিদার উপেনের কথা শুনে রেগে যায় এবং তাকে মারধর করার হুমকি দেয়। 
বাবু যত বলে পারিষদ দলে বলে তার শতগুণ।জমিদার যত বলে, তার পারিষদরা তার চেয়েও বেশি বলে।
আমি কহিলাম,‘শুধু দুটি আম ভিখ মাগি মহাশয়!উপেন জমিদারকে বলে যে, সে শুধু দুটি আম ভিক্ষা চেয়েছে।
বাবু কহে হেসে ‘বেটা সাধুবেশে পাকা চোর অতিশয়।জমিদার উপেনকে সাধু সেজে চোর বলে অপমান করে।
আমি শুনে হাসি আঁখিজলে ভাসি, এই ছিল মোর ঘটে।উপেন জমিদারের কথা শুনে হাসে, কিন্তু তার চোখে জল আসে আর বলে এটাই কি তার ভাগ্যে ছিল।
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ, আমি আজ চোর বটে!উপেন জমিদারকে বলতে চায় যে, জমিদারই আসল চোর, কারণ সে অন্যায়ভাবে তার জমি কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু উপেনের মতো দরিদ্র মানুষকে চোর বলে অপবাদ দেওয়া হয়।

Related Posts

Leave a Comment