মামার বিয়ের বরযাত্রী গল্পের মূলভাব ও বিষয়বস্তু

মামার বিয়ের বরযাত্রী গল্পের মূলভাব ও বিষয়বস্তু

খান মোহাম্মদ ফারাবীর “মামার বিয়ের বরযাত্রী” গল্পটি একটি হাস্যরসাত্মক কাহিনি, যেখানে একটি সাধারণ ভুলের কারণে লেখকের জীবনে ঘটে যায় এক অপ্রত্যাশিত ভ্রমন। নিচে মামার বিয়ের বরযাত্রী গল্পের মূলভাব ও বিষয়বস্তু দেওয়া হল।

মামার বিয়ের বরযাত্রী গল্পের মূলভাব

খান মোহাম্মদ ফারাবীর “মামার বিয়ের বরযাত্রী” গল্পটি একটি মজার ও শিক্ষণীয় ঘটনা বর্ণনা করে, যেখানে লেখক তার মেজো মামার বিয়েতে যাওয়ার জন্য ছোটো মামার পরামর্শে ঢাকা থেকে ১২ স্টেশন দূরে চৌধুরী বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ছোটো মামা স্টেশনের নাম ভুলে যাওয়ায় লেখক ভুলবশত ময়মনসিংহ লাইনের ট্রেনে চড়ে বসে এবং ১২ স্টেশন গুনে ভুল চৌধুরী বাড়িতে পৌঁছে যায়। সেখানে সবাই তাকে বরের ভাগনে ভেবে আদর-আপ্যায়ন করে, শিকার করতে নিয়ে যায় এবং বিরিয়ানি খাওয়ায়। যখন আসল বর আসে, তখন ধরা পড়ে লেখক ভুল জায়গায় এসেছে, কারণ আসল চৌধুরী বাড়ি ছিল চট্টগ্রাম লাইনে। শেষে ছোটো মামা এসে লেখককে উদ্ধার করেন এবং সবাই এই মজার ভুলটি নিয়ে হাসিখুশি হয়, যা পাঠককে শেখায় যে জীবনের ছোটো ভুলগুলোকেও হাসিমুখে মেনে নেওয়া উচিত।

মামার বিয়ের বরযাত্রী গল্পের বিষয়বস্তু

গল্পের লেখক (একজন ছাত্র) জানতে পারে যে তার মেজো মামার বিয়ে হবে। বাড়ির সবাই বিয়ের তিন দিন আগে মামাবাড়ি যাবে, কিন্তু নায়ক যেতে পারবে না, কারণ তার পরীক্ষা আছে। বিয়ের ঠিক আগের দিন তার পরীক্ষা শেষ হবে।

মেজো মামা ও ছোটো মামা দাওয়াত দিতে এলে, ছোটো মামা তাকে একটি চালাকি পন্থা বাতলে দেন। পরীক্ষা শেষে সরাসরি কনের বাড়িতে (চৌধুরী বাড়ি) গিয়ে বরযাত্রীদের সঙ্গে মিলিত হওয়া। এতে বিরিয়ানি খাওয়াও মিস হবে না। সমস্যা হলো কনের বাড়ির স্টেশনের নাম কেউ জানে না। শুধু তথ্য—এটি ঢাকা থেকে ১২টি স্টেশন পরে।

পরীক্ষা শেষ করে লেখক সাড়ে বারোটার ট্রেনে চড়তে যায়, কিন্তু ভুলবশত বারোটার ময়মনসিংহ লাইনের ট্রেনে উঠে পড়ে! সে গুনে গুনে ১২ স্টেশন পর একটি স্টেশনে নামে এবং রিকশাওয়ালাকে “চৌধুরী বাড়ি” যেতে বলে। স্টেশনে এক ভদ্রলোক তার সাহায্য করেন এবং তাকে চৌধুরী বাড়ি পৌঁছে দেন। লেখক বুঝতে পারে না যে এটি ভুল চৌধুরী বাড়ি!

চৌধুরী বাড়িতে সবাই তাকে আদর-আপ্যায়ন করে, কারণ সেখানে পরদিন আরেকটি বিয়ে হবে। তারা লেখককে “জামাইয়ের ভাগনে” ভেবে নেয়! লেখককে মোটরগাড়ির চাকা ফুটো করে দেওয়ার মতো বিপত্তি ঘটায়। তাকে পদ্মবিলে শিকার করতে নিয়ে যায়, যেখানে সে বন্দুক চালাতে গিয়ে গাড়ির ক্ষতি করে! সবাই তাকে বিরিয়ানি খাওয়ায়, এবং সে মনে করে এটাই তার মামার শ্বশুরবাড়ি।

বিয়ের দিন যখন বর (লেখকের মেজো মামা) আসে, তখনই মজার ঘটনা প্রকাশ পায়। বর লেখককে চেনে না। লেখক বুঝতে পারে, সে ভুল লাইনের ট্রেনে চড়ে ভুল চৌধুরী বাড়িতে এসেছে। আসল চৌধুরী বাড়ি ছিল চট্টগ্রাম লাইনে, কিন্তু সে চড়েছিল ময়মনসিংহ লাইনের ট্রেনে। ছোটো মামা এসে তাকে উদ্ধার করেন, এবং সবাই হেসে ফেলে এই মজার ভুলটাকে।

আরও পড়ুনঃ আদু ভাই গল্পের মূলভাব ও বিষয়বস্তু – আবুল মনসুর আহমদ

Related Posts

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top